বৈশ্বিক বাজারে ভারতীয় রপ্তানির উত্থান ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
নয়াদিল্লি, ১৫ মার্চ ২০২৫: ভারত চলতি অর্থবছরে ৮০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি রপ্তানি অর্জন করতে চলেছে, যার উল্লেখযোগ্য অংশ আসছে পরিষেবা খাত থেকে, বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীয়ূষ গোয়েল।
বৃহস্পতিবার এক্সপোর্ট প্রোমোশন কাউন্সিল (EPCs) এবং শিল্প সংস্থাগুলোর সঙ্গে বৈঠকে গোয়েল বলেন, সরকার ভারতীয় রপ্তানিকারকদের জন্য আন্তর্জাতিক বাজার সম্প্রসারণে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এবং জাতীয় স্বার্থের সুরক্ষা নিশ্চিত করেই বাণিজ্যিক চুক্তি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
ভারতের রপ্তানি বৃদ্ধির প্রধান চালিকা শক্তি
🔹 পরিষেবা খাতের অগ্রগতি: ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি (IT), সফটওয়্যার পরিষেবা, আর্থিক পরামর্শ এবং হেলথকেয়ার পরিষেবা বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা পাচ্ছে, যা রপ্তানি বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখছে।
🔹 মালপত্র রপ্তানিতে বৃদ্ধি: কৃষি, টেক্সটাইল, ইলেকট্রনিক্স এবং ওষুধ খাতও দ্রুত বর্ধনশীল, যা ভারতকে একটি বৈশ্বিক রপ্তানি কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলছে।
🔹 বিনিয়োগ ও অবকাঠামো উন্নয়ন: সরকারের উন্নত অবকাঠামো এবং নীতি সহায়তা ভারতীয় ব্যবসায়ীদের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সক্ষম করছে।
🔹 দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি (FTAs): ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ফ্রি ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট (FTA) স্বাক্ষরিত হওয়ার শেষ পর্যায়ে রয়েছে, যা ভারতীয় রপ্তানিকে আরও এগিয়ে নেবে।
গ্লোবাল সংকটকে সুযোগে রূপান্তর
পীয়ূষ গোয়েল রপ্তানিকারকদের সাহসী ও আত্মবিশ্বাসী দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন এবং বলেছেন যে সংকটময় বৈশ্বিক পরিস্থিতির মধ্যেও ভারতীয় রপ্তানি খাত সুযোগ সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে।
মন্ত্রী EPCs-কে সুরক্ষাবাদী (Protectionist) নীতির পরিবর্তে উদ্ভাবনী এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের উপযোগী কৌশল গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, “ভারত তখনই সত্যিকারের উন্নত দেশ (Viksit Bharat) হবে, যখন আমাদের শিল্প খাত ভোক্তাদের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মানসম্পন্ন ও প্রতিযোগিতামূলক পণ্য ও পরিষেবা সরবরাহ করতে পারবে।”
উন্নত বাণিজ্য নীতি ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
✅ ভারত পরবর্তী প্রজন্মের প্রযুক্তি ও উৎপাদন খাতে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে।
✅ রপ্তানিকারকদের জন্য সহজলভ্য ঋণ ও ভর্তুকি সুবিধা সম্প্রসারণ করা হচ্ছে।
✅ বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য সম্প্রসারণে সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারিত্বের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই অগ্রগতির ফলে ভারত আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বৈশ্বিক বাণিজ্যে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং ১ ট্রিলিয়ন ডলারের রপ্তানি লক্ষ্য পূরণের পথে এগিয়ে যাবে।