নিউ ইয়র্ক, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
মার্কিন প্রশাসন একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে স্মার্টফোন, কম্পিউটার ও অন্যান্য উচ্চপ্রযুক্তি পণ্যের উপর থেকে “পারস্পরিক শুল্ক” (reciprocal tariffs) অব্যাহতি ঘোষণা করেছে — ফলে মার্কিন ভোক্তাদের জন্য এইসব জনপ্রিয় ইলেকট্রনিক সামগ্রীর দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনা অনেকটা হ্রাস পাবে।
গত শুক্রবার রাতে যুক্তরাষ্ট্র কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন দফতর এক সরকারি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায়, এই অব্যাহতির আওতায় চীন থেকে আমদানিকৃত স্মার্টফোন, যন্ত্রাংশ ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক সামগ্রী অন্তর্ভুক্ত হয়েছে — যেগুলোর ওপর এতদিন ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হচ্ছিল।
সেই সঙ্গে সেমিকন্ডাক্টর বা মাইক্রোচিপকেও বাদ দেওয়া হয়েছে “বেসলাইন” ১০ শতাংশ শুল্ক এবং চীনের ওপর ধার্যকৃত অতিরিক্ত ১২৫ শতাংশ করের তালিকা থেকে। উল্লেখযোগ্যভাবে, এই ঘোষণা চলতি মাসের শুরুর দিকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষিত সার্বিক ১০ শতাংশ শুল্ক ও চীনের জন্য আলাদাভাবে আরোপিত কঠোর শুল্ক নীতির সীমা সংকুচিত করেছে।
চীনকে লক্ষ্য করে ট্রাম্প প্রশাসন যে “পাল্টা শুল্ক” ব্যবস্থা চালু করেছে, তা মূলত বাণিজ্য ব্যবস্থায় ওয়াশিংটনের দৃষ্টিতে “অন্যায্য” চর্চার বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া। নতুন ঘোষিত ১২৫ শতাংশ শুল্ক এই সপ্তাহে কার্যকর হয়েছে, যা পূর্বের ২০ শতাংশ শুল্ক এবং ফেন্টানিল সরবরাহ চেইনে চীনের ভূমিকা নিয়ে আরোপিত অন্যান্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থার সঙ্গে মিলিয়ে অনেক পণ্যের ওপর মোট করহার ১৪৫ শতাংশে পৌঁছেছে।
এদিকে, অনেক অব্যাহতিপ্রাপ্ত পণ্য — যেমন হার্ড ড্রাইভ ও কম্পিউটার প্রসেসর — বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি হয় না। যদিও ট্রাম্প বারবার এই শুল্কনীতিকে ঘরোয়া উৎপাদন পুনরুজ্জীবনের হাতিয়ার হিসেবে বর্ণনা করেছেন, বিশেষজ্ঞদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে এসব পণ্যের উৎপাদন পূর্ণমাত্রায় গড়ে তুলতে বছর কয়েক সময় লেগে যেতে পারে।
অ্যাপল আইফোন ১৬-এর প্রদর্শনী গত ২০ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কের অ্যাপল স্টোরে অনুষ্ঠিত হয়। পণ্যের চাহিদা ও ভোক্তাদের খরচের দিকে তাকিয়ে এ ধরনের শুল্ক অব্যাহতি মার্কিন বাজারে স্বস্তির বার্তা নিয়ে এসেছে।